Posts

Showing posts from March, 2024

চারিপদ ঘটিত দোষ টীকা | চতুষ্পদী দোষ কখন ঘটে | HS Exam Philosophy Suggestion 2024

নমস্কার আমি দীপ আজকের এই পোস্টেআমরা জানব  চারিপদ ঘটিত দোষ নিয়ে ৷ চারিপদ ঘটিত দোষ টীকা।  অথবা, চারিপদ ঘটিত দোষ কখন হয়। উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করো। চতুষ্পদী দোষ কি ? অথবা, চতুষ্পদী দোষ কখন ঘটে । উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করো। সংক্ষিপ্ত টীকা : চারিপদ ঘটিত দোষ (Fallacy of four terms) ন্যায়ের প্রথম নিয়ম অনুযায়ী কোন ন্যায় অনুমানে তিনটি পদের পরিবর্তে চারটি পদ থাকলে যে দোষ দেখা দেয়, তাকে চারিপদ ঘটিত দোষ বা চতুষ্পদী দোষ বলা হয়। যেমন - উদাহরণ:- সোনা রুপার চেয়ে দামি, রূপ লোহার চেয়ে দামি, সুতরাং সোনা লোহার চেয়ে দামি। যুক্তিবিজ্ঞান সম্মত আকার বা / তর্ক বিজ্ঞানসম্মত আকার:-  প্রধান আশ্রয়বাক্য: সকল রুপা হয় লোহার চেয়ে দামি ধাতু - A অপ্রধান আশ্রয়বাক্য: সকল সোনা হয় রুপার চেয়ে দামি ধাতু - A সিদ্ধান্ত: সকল সোনা হয় লোহার চেয়ে দামি ধাতু - A       A A A -------- প্রথম সংস্থায় । দোষ:- চতুষ্পদী দোষ। বিচার /ব্যাখ্যা:- এই নিরেপেক্ষ ন্যায় অনুমানটি অবৈধ। এখানে যুক্তিটিতে চারিপদ ঘটিত দোষ ঘটেছে । ন্যায়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ন্যায় অনুমানে তিনটি পদ থাকবে, তিনের বেশি বা কম থাকবে না ।

বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম | HS Philosophy Suggestion 2024

Image
আমি দীপ আজকের এই পোস্টে আমরা class 12 এর philosophy  বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম নিয়ে জানব ৷  বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম  মনে রাখার বিষয় – A. বাক্যের অর্থ বচনে একই থাকবে । B. বাক্যের অর্থ একই রেখে সংক্ষেপে বচন করতে হবে। C. বচনে উদ্দেশ্য, সংযোজক ও বিধেয়-র স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে । D. বাক্যের নঞর্থক চিহ্নটি বচনের সংযোজকের সঙ্গে যুক্ত হবে । E. বচনে সংযোজক টি সর্বদা” হওয়া” ক্রিয়ার বর্তমানকালের হবে । F. গুণ ও পরিমাণ অনুসারে বচনের সাংকেতিক নাম বসাতে হবে ।                                      1) বাক্যকে বচনে পরিণত করার প্রথম নিয়ম – সকল,সমুদয়, সদা, যে-সে, অবশ্যই, সমস্ত, সব, সবাই, সর্বত্র, সর্বদা, প্রত্যেক, প্রত্যেকেই, নিশ্চিতভাবে, অনিবার্যভাবে, আবশ্যিকভাবে, যে কেউ, যে কেহ ,যে কোনো, যা-তা, যেখানে-সেখানে, যখন-তখন ,যদি-তবে, চিরকাল, মাত্র, মাত্রই ,সর্বতোভাবে ইত্যাদি এই জাতীয় কোন শব্দ সদর্থক বাক্যে থাকলে, সেক্ষেত্রে বাক্যটি সামান্য সদর্থক “ A ”বচন হবে। আর কোন নঞর্থক বাক্যে এই জাতীয় কোন শব্দ থাকলে বাক

সাপেক্ষ বচনের আকার

সাপেক্ষ বচনের আকার (Proposition Form of Conditional Propositions) সাপেক্ষ বচনের ক্ষেত্রে আমরা একটি শর্ত (Condition)-কে উল্লেখ করে থাকি। 'সাপেক্ষ বচন দু-প্রকারের- (i) প্রাকল্পিক বচন (Hypothetical Proposition) এবং (ii) বৈকল্পিক বচন (Disjunctive Proposition)। সাপেক্ষ বচন প্রাকল্পিক বচনের আকার: "যদি P তবে Q" উদাহরণ: যদি বৃষ্টিপাত হয় তবে মাটি ভিজবে। বৈকল্পিক বচনের আকার: "হয় P অথবা Q" উদাহরণ: হয় তুমি পাহাড়ে যাবে অথবা তুমি সমুদ্রে যাবে। 1) প্রাকল্পিক বচন ও তার আকার: প্রাকল্পিক বচন হল সেই বচন, যা "যদি... তবে..." নামক শব্দগুচ্ছ দ্বারা গঠিত। যেমন- "যদি বৃষ্টি পড়ে তবে মাটি ভিজবে।" প্রাকল্পিক বচনের অংশ হল দুটি পূর্বগ (Antecedent) এবং অনুগ (Consequent)। যে ঘটনাটি আগে ঘটে, তাকে বলে পূর্বগ এবং যে ঘটনাটি পরে ঘটে তাকে বলে অনুগ। অনুগ সর্বদা পূর্বগকে অনুসরণ করে চলে। ওপরের উদাহরণটির ক্ষেত্রে বৃষ্টি পড়া হল পূর্বগ, আর মাটি ভেজা হল অনুগ। প্রাকল্পিক বচনের আকারটিকে যেভাবে উল্লেখ করা যায়, তা হল- যদি P তবে Q. # যদি P নয় তবে Q নয় ইত্যাদি। 2) বৈকল্পিক বচন ও তার আকার: বৈক

নিরপেক্ষ বচনের আকার

নিরপেক্ষ বচনের আকার (Propositional Form of Categorical Proposition) নিরপেক্ষ বচন চার প্রকারের- সদর্থক, সামান্য-নঞর্থক, সদর্থক, বিশেষ- বিশেষ-নঞর্থক। এই চার প্রকারের নিরপেক্ষ বচনের আকারগুলিকে নীচে উল্লেখ করা হল- 1) সামান্য-সদর্থক বা A বচনের আকার: সকল S হয় P (A); অর্থাৎ, এর রূপ হল [সকল. হয়........।] এর মূর্তরূপ হল- সকল কবি হয় দার্শনিক (A)। 2) সামান্য-নঞর্থক বা E বচনের আকার: কোনো S নয় P (E); অর্থাৎ, এর রূপ হল [কোনো......... নয়.........।] এর মূর্তরূপ হল- কোনো মানুষ নয় সুখী (E)। নিরপেক্ষ বচন সামান্য বা সার্বিক-সদর্থক = A বচন এর আকার: সকল Sহয় P উদাহরণ: সকল মানুষ হয় মরণশীল (A)।

পদের ব্যাপ্যতা

পদের ব্যাপ্যতা (Distribution of Terms) তর্কবিজ্ঞানে ব্যাপ্যতা বলতে পদের ব্যাপ্যতাকেই বোঝায়। যে-কোনো নিরপেক্ষ বচনে দুটি পদ থাকে, যার একটি হল উদ্দেশ্য পদ এবং অপরটি হল বিধেয় পদ। নিরপেক্ষ বচনের পদগুলি ব্যাপ্য (Distributed) হতে পারে, আবার অব্যাপ্য (Undistributed)-ও হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে ব্যাপ্যতা কী? ব্যাপ্যতার সংজ্ঞা (Definition of Distribution) প্রত্যেকটি পদের দুটি দিক আছে-পরিমানের দিক এবং গুণের দিক। পদের পরিমানকে বলা হয় তার ব্যাস্তুর্থ এবং তার গুণকে বলা হয় তার জাত্যর্থ। কোনো পদের মাধ্যমে যদি তার সম্পূর্ণ ব্যস্তর্থ (Denotation)-কে উল্লেখ বা নির্দেশ করা হয়, তখন বলা হয় যে পদটি ব্যাপ্য (Distributed)। অর্থাৎ, কোনো একটি পদের ব্যাপ্যতার মাধ্যমে-সেই পদ দ্বারা নির্দেশিত বিষয়টির সম্পূর্ণ পরিমাণকে উল্লেখ করা হয়েছে কি না, তা বোঝা যায়। যদি দেখা যায় যে, বিষয়টির সম্পূর্ণ পরিমাণকে নির্দেশ করা হয়েছে, তবেই বলা হবে যে, পদটি ব্যাপ্য হয়েছে। অন্যদিকে, কোনো পদের মাধ্যমে যদি তার পরিপূর্ণ ব্যস্তর্থকে নির্দেশ না করা হয়, তবে বলা হয় পদটি অব্যাপ্য (Undistributed)। অর্থাৎ, পদের অব্যাপ্যতার অর্থ হল সে

বচনের আকার

বচনের আকার (Proposition Form) যুক্তির মূলভিত্তিই হল বচন (Proposition), কারণ বচন ছাড়া কোনো যুক্তিই গঠিত হতে পারে না। সুতরাং যুক্তিবিজ্ঞানে বচনের যে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তা কোনোমতেই অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু যুক্তিবিভাজনে বচনের থেকেও আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বচনের আকার (Proposition Form)-কে। বচনের আকার বলতে বোঝায় বচনের একটি নির্দিষ্ট কাঠামোকে। এরূপ কাঠামোয় উদ্দেশ্য এবং বিধেয় পদগুলোকে পরিবর্তন করলেও তার কাঠামো বা আকারটি একই থাকে। অর্থাৎ বচনের আকারের একটি নির্দিষ্টতা ও সার্বিকতা আছে-যার ফলে তার সত্যমূল নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কোনো ভ্রান্তি ঘটে না। তর্কবিজ্ঞানে আমরা বিভিন্ন রকম বচন পেয়ে থাকি। আবার বিভিন্ন রকম বচনের বিভিন্ন আকারও পেয়ে থাকি।

যুক্তিবিদ্যা বা তর্কবিদ্যার অর্থ, সংজ্ঞা, বিষয়, বিজ্ঞান, গুরুত্ব

যুক্তিবিদ্যা বা তর্কবিদ্যার প্রাথমিক ধারণা (Basic Concept of Logic) যুক্তিবিদ্যা বা তর্কবিদ্যা হল একটি অত্যন্ত প্রাচীন শাস্ত্র। এটি দর্শনের একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় শাখা। অনেকে প্রখ্যাত গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলকেই এই শাস্ত্রের জনকরূপে উল্লেখ করেন। স্বতন্ত্রভাবে প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিকেরাও অনুরূপ একটি শাস্ত্র গড়ে তোলেন। তাঁরা এই শাস্ত্রটিকে ন্যায়শাস্ত্র, যুক্তিশাস্ত্র, তর্কশাস্ত্র ইত্যাদি বিভিন্ন নামে অভিহিত করেছেন। আধুনিককালে আমরা যুক্তিবিদ্যা, তর্কবিদ্যা, যুক্তিবিজ্ঞান, তর্কবিজ্ঞান প্রভৃতি শব্দগুলিকেই ব্যবহার করে থাকি। তবে, এ কথা সত্যি যে ভারতবর্ষে যেমন প্রাচীন ন্যায় সম্প্রদায়ের দার্শনিকরা এই শাস্ত্রের চর্চা করেছেন, তেমনি সুপ্রাচীন গ্রিসেও অ্যারিস্টটলের সময়কালেই এই শাস্ত্রটির সূত্রপাত ঘটে। সুতরাং, এই শাস্ত্রটি যে অত্যন্ত প্রাচীন- তাতে কোনো সন্দেহই থাকতে পারে না। তর্কবিদ্যার আলোচনায় ওঠা প্রাথমিক প্রশ্ন (Elementary Questions Raised in the Discussion of Logic) তর্কবিদ্যা বা যুক্তিবিদ্যা পাঠের প্রথমেই আমাদের মনে যে প্রশ্নটি স্বাভাবিকভাবেই জেগে ওঠে, তা হল-তর্কবিদ্যা বা যুক্তিবিদ্যা কী। অথব

যুক্তির স্বরূপ বা প্রকৃতি

যুক্তির স্বরূপ বা প্রকৃতি (Nature of Argument) 1) জ্ঞানলাভের একটি প্রক্রিয়ারূপে যুক্তি বা অনুমান:  যুক্তি অথবা অনুমান হল জ্ঞানলাভের একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া হল একটি যথার্থ বা সঠিক প্রক্রিয়া। এধরনের প্রক্রিয়া বাঁধাধরা নিয়মের অনুশাসন মেনে চলতে চায়। কোনো কারণে যদি নিয়ম মেনে চলা না হয়, তাহলে এই প্রক্রিয়া কখনোই সুফল দেয় না। তাই ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে যদি কোনো যুক্তি অথবা অনুমান গঠন করা হয়, তাহলে তা থেকে যথার্থ জ্ঞান পাওয়া যায়। কিন্তু নিয়মগুলিকে যথাযথভাবে না মানলে যুক্তি অথবা অনুমানের ক্ষেত্রে ভ্রান্তি দেখা দেয়। সেকারণেই যুক্তি অথবা অনুমানের নিয়মগুলি সম্পর্কে আমাদের যথাযথ ও সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার। তর্কবিদ্যা আমাদের সেই নিয়মগুলি সঠিকভাবে জানতে সাহায্য করে। সুতরাং তর্কবিদ্যার কাজ হল, সেই সমস্ত নিয়মের সন্ধান দেওয়া, যেগুলিকে অনুসরণ করলে যুক্তি বা অনুমান যথার্থ হয়। 2) যুক্তি বা তর্কের বিষয় কোনো মানসিক প্রক্রিয়া নয়:  তর্কবিদ্যায় আমরা কোনো মানসিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করি না। কারণ, মানসিক প্রক্রিয়া হল নেহাত-ই কোনো মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় এবং তা অপরের কাছে অপ্রকাশিত। সুতরাং শুধুমাত্র কোনো মানসিক প্

জল সম্পদ - জলসেচ ও জল সংরক্ষণ

বিশ্ব সম্পদের ব্যবহার: জল সম্পদ- জলসেচ ও জল সংরক্ষণ (Utilization of World Resources: Water Resource-Irrigation and Water Preservation) ভূমিকা: পর্যাপ্ত জল কৃষিব্যবস্থার এক অন্যতম উপাদান। অপরিমিত বৃষ্টিপাত ঘটলে পর্যাপ্ত জলের অভাবে অনেক ক্ষেত্রে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়। তাই অনুকূল ভূমিরূপ, উন্নতা ও মৃত্তিকার উপস্থিতি থাকলে পর্যাপ্ত জলের জোগান সুনিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন কৃত্রিম পদ্ধতিতে জলের জোগান দেওয়া হয়, যা জলসেচ ব্যবস্থা নামে পরিচিত। পৃথিবীতে বহু প্রাচীন সভ্যতায় জলসেচ পদ্ধতি প্রয়োগের নিদর্শন পাওয়া যায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বর্তমানে জলসেচ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও আধুনিকীকরণ ঘটেছে। সম্পদ রূপে জল (Water as a Resource) জীবের জীবনধারণের জন্য জল অত্যন্ত অপরিহার্য একটি উপাদান। বিভিন্ন খনিজের সমন্বয়ে সৃষ্ট জল একটি সাধারণ তরল পদার্থ। কৃষি, শিল্প, পরিবহণ, মানুষের দৈনন্দিন কার্যাবলি বিশেষত পানীয় হিসেবে জলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলের এই উপযোগিতা ও কার্যকারিতার কথা বিবেচনা করে জলকে সম্পদ রূপে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে অবশ্য পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিশুদ্ধ জলের সংকট লক্ষ করা যাচ্ছে এবং 202

যুক্তির আকার

যুক্তির আকার (Argument Form) প্রত্যেকটি যুক্তির দুটি রূপ লক্ষ করা যায়। যুক্তির এই দুটি রূপের একটি হল তার আকারগত দিক এবং অপরটি হল তার উপাদানগত দিক। যুক্তির উপাদান হল বচন (Proposition)। একাধিক বচনের সহযোগে কোনো একটি যুক্তি Argument) গঠিত হয়। যে-কোনো যুক্তির অন্তর্গত ওই সমস্ত বচনগুলিই হল যুক্তির উপাদান। আবার যুক্তির উপাদান বলতে যুক্তির বিষয়বস্তুকেও বোঝানো হয়ে থাকে। এই উপাদান দিয়ে গঠিত হয় যুক্তি। এই যুক্তিকে যখন একটি বিশেষ আকারে উপস্থিত করা হয়, তখন তাকে বলা হয় যুক্তির আকার (Argument Form)।  যুক্তির বিভিন্ন আকার (Different Argument Forms) যুক্তির আকার বলতে যে কাঠামোয় কোনো একটি যুক্তি গঠিত বা প্রকাশিত হয়, সেই কাঠামোকেই বোঝায়। অর্থাৎ, যে কৌশলে বা নিয়মে একাধিক বচন সংযুক্ত হয়ে একটি যুক্তি গঠন করে, সেই কৌশল বা নিয়মকেই বলা হয় যুক্তির আকার। কোনো একটি নির্দিষ্ট যুক্তির উপাদান পরিবর্তিত হলেও, তার আকার (Form) কিন্তু অপরিবর্তিত থাকে। একটি অবরোহ যুক্তি কেবলমাত্র সরল নিরপেক্ষ বচন নিয়ে গঠিত হতে পারে, আবার জটিল বচন সহযোগেও গঠিত হতে পারে। সরল অবরোহ যুক্তির আকার যদি একটি অবরোহ যুক্তিতে কেবলমাত্র সরল নিরপেক্

যুক্তির বিভাগ

যুক্তির বিভাগ (Classification of Arguments) তর্কবিদ্যায় যুক্তিকে দু-ভাগে ভাগ করা হয়েছে- অবরোহ যুক্তি (Deductive Argument) এবং আরোহ যুক্তি (Inductive Argument) | অবরোহ যুক্তি (Deductive Argument) যে যুক্তিতে এক বা একাধিক যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, অর্থাৎ যুক্তিবাক্যগুলি সত্য হলে সিদ্ধান্তটি কখনোই মিথ্যা হতে পারে না এবং সিদ্ধান্তটি কখনোই যুক্তিবাক্য অপেক্ষা ব্যাপকতর নয়, সেই যুক্তিকেই বলা হয় অবরোহ যুক্তি (Deductive Argument)। অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তগুলির বক্তব্য কখনোই যুক্তিবাক্যের বক্তব্যকে অতিক্রম করে যেতে পারে না।  অবরোহ যুক্তির বৈশিষ্ট্য অবরোহ যুক্তির মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হল- (1) অবরোহ যুক্তির ক্ষেত্রে যুক্তিবাক্যের সংখ্যা এক বা একাধিক হতে পারে। (2) যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়। (3) সিদ্ধান্তে এমন কোনো বিষয় প্রমাণিত হতে পারে না, যা যুক্তিবাক্যের মধ্যে নিহিত নয়। (4) যুক্তিবাক্যের ব্যাপকতার চেয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপকতা কখনোই বেশি হবে না। অর্থাৎ, তা যুক্তিবাক্যের ব্যাপকতার হয় সমান হবে, নয়তো তার চেয়ে কম হবে। (5) অবরোহ যুক্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আ

যুক্তির বৈধতা ও যুক্তির অবৈধতা

যুক্তির বৈধতা (Validity of Arguments) আমরা জানি যে, অনুমানকে যখন ভাষায় ব্যক্ত করা হয়, তখন তাকে বলা হয় যুক্তি। এই যুক্তি ঠিক বা শুদ্ধ হতে পারে, আবার তা অশুদ্ধ বা ভুলও হতে পারে। তর্কবিদ্যায় নির্ভুল বা শুদ্ধ যুক্তিকে বলা হয় বৈধ যুক্তি (Valid Argument), আর ভুল বা অশুদ্ধ যুক্তিকে বলা হয় অবৈধ যুক্তি (Invalid Argument)। বৈধতা তথা বৈধ বা অবৈধ শব্দ দুটি তাই শুধুমাত্র অবরোহ যুক্তির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যুক্তি বা যুক্তির আকার, যাই বলা হোক না কেন, এই দুটি বিষয়ের সঙ্গেই বৈধতার প্রশ্নটি জড়িত। তাই বৈধতাকে অবরোহ যুক্তির নিজস্ব ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যরূপে উল্লেখ করা হয়। একটি যুক্তি বৈধ হতে পারে, আবার অবৈধও হতে পারে। তাই সমস্ত যুক্তিই বৈধ-রূপে গণ্য হতে পারে না, আবার সমস্ত যুক্তিই অবৈধ-রূপেও গণ্য হতে পারে না। এজন্য কোনো কোনো যুক্তি বৈধরূপে গণ্য, আবার কোনো কোনো যুক্তি অবৈধরূপে স্বীকৃত। 1) যুক্তির আকারের সঙ্গে যুক্তির বৈধতার সম্পর্ক : আমরা আগেই উল্লেখ করেছি যে, প্রত্যেকটি অবরোহ যুক্তির মধ্যে দুটি বিষয় দেখা যায়। আকার এবং উপাদান। একাধিক বচন সহযোগে একটি অবরোহ যুক্তি গঠিত হয়। এই বচনগুলি হল অবরোহ যুক্তির উপাদান এবং এগ

ভারতের জলসেচ

ভারতের জলসেচ (Irrigation of India) ভারতের অর্থনীতি প্রধানত কৃষিনির্ভর এবং ভারতের কৃষিজমির প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল। জলসেচ ব্যবস্থা ভারতে মৌসুমি বৃষ্টির ওপর কৃষিকাজের অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা হ্রাস করতে এবং শস্যের উৎপাদন, খাদ্যসুরক্ষা ও গ্রামীণ কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতে জলসেচের প্রয়োজনীয়তা (Necessity of Irrigation in India) ভারতে জলসেচের প্রয়োজনীয়তাগুলি হল- (i) ভারতীয় কৃষি অনেকাংশে বৃষ্টিপাতের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং ভারতে প্রায় 75% বৃষ্টিপাতই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সংঘটিত হয়। কিন্তু মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমন অনিশ্চিত হওয়ায় কৃষিক্ষেত্রে জলের প্রাপ্যতার বিষয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়। (ii) সারাবছরব্যাপী ফসল উৎপাদনের জন্য জলসেচের প্রয়োজন। (iii) বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণের ক্ষেত্রে যথেন্ট তারতম্য লক্ষ করা যায়। (iv) সবুজ বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় জলসেচের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ উচ্চফলনশীল বীজ থেকে ফসল উৎপাদনের জন্য প্রচুর পরিমাণে জল প্রয়োজন হয়। (v) ফসল উৎপা

জলসেচে জলের ব্যবহার ও অপব্যবহার

জলসেচে জলের ব্যবহার ও অপব্যবহার (Use and Misuse of Water in Irrigation) জলসেচে জলের ব্যবহার (Use of Water in Irrigation) (i) চারাগাছের বৃদ্ধি: সুনির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে চারাগাছের বৃদ্ধি ও বিকাশ সুষ্ঠুভাবে হওয়ার জন্য পরিমিত পরিমাণ জল প্রয়োজন।  (ii) অঙ্কুরোদ্গম প্রক্রিয়া: কৃষিজমিতে বীজ বপন করার পরে তা থেকে অঙ্কুরোদ্গমের জন্য যথাযথ মাত্রায় জল দেওয়ার প্রয়োজন হয়।  (iii) ফসল উৎপাদনের জন্য জলের জোগান: ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত জলের প্রয়োজন। কৃষিক্ষেত্রে জলের জোগান অব্যাহত রাখার জন্য মিশরে নীলনদের ওপর এবং ভারতে দামোদর পরিকল্পনা, ভাকরা-নাঙ্গাল প্রকল্প প্রভৃতি বহুমুখী নদী-উপত্যকা পরিকল্পনা গড়ে তোলা হয়েছে।  (iv) সার ব্যবহার: সেচের জলের সাহায্যে কৃষিজমিতে সার ব্যবহার করা যথেষ্ট সহজসাধ্য হয়। লবণাক্ততার প্রভাব হ্রাস: সেচের জলের সাহায্যে মাটির উপরিভাগে সঞ্চিত লবণের অপসারণ ঘটে।  (Vi) জলবিদ্যুৎ উৎপাদন: জলসেচের জন্য তৈরি বাঁধের পিছনে সঞ্চিত জলে টারবাইন ঘুরিয়ে যথেষ্ট জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।  (Vii) পানীয় জলের জোগান: সেচের জন্য ব্যবহৃত জলকে বিশুদ্ধ করে পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করা যায়।  (Viii) প

জল সম্পদ সংরক্ষণ

জল সম্পদ সংরক্ষণ (Conservation of Water Resources) সংজ্ঞা : যে পদ্ধতিতে জলের অপচয় রোধ, নিয়ন্ত্রিত ও কাম্য ব্যবহার, পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে যুক্তিসংগত ও সুপরিকল্পিতভাবে জলকে ব্যবহার করা যায়, তাকে জল সংরক্ষণ বলে।  জল সম্পদ সংরক্ষণের পদ্ধতিসমূহ:  নিম্নলিখিত বিভিন্ন পদ্ধতির সাহায্যে জল সম্পদ সংরক্ষণ করা যেতে পারে। দৈনন্দিন জীবনে জলের চাহিদা হ্রাস: দৈনন্দিন জীবনে মানুষের বিভিন্ন কার্যাবলির জন্য প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা কমানো প্রয়োজন। বাঁধ ও জলাধার গঠন: নদীতে বাঁধ ও জলাধার নির্মাণ করে জল সঞ্চয় করা যেতে পারে এবং ওই জলকে বহুমুখী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে জল সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। • জলসেচের কাম্য ব্যবহার: নিয়ন্ত্রিত উপায়ে বিশেষত বিন্দু ও ফোয়ারা পদ্ধতির সাহায্যে জলসেচ করলে প্রায় 32% জলের অতিব্যবহার রোধ করা সম্ভব হয়। জলনিকাশি ব্যবস্থার উন্নতিবিধান: নর্দমার জল যাতে কোনোভাবে জলাশয়ের জলকে দূষিত করতে না পারে, তার জন্য নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন করা প্রয়োজন। লবণমুক্তকরণ: সাম্প্রতিককালে পৃথিবীতে সমুদ্রের লবণমুক্ত জলের সামগ্রিক পরিমাণ দৈনিক গড়ে প্রায় 4.5 কোটি গ্যালন। প্রধানত রিভার্স ওসমোসিস্ ও মাইক্রোফিলট্রেশন পদ্ধত

জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা

জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা (Watershed Management) জলবিভাজিকার সংজ্ঞা:  বিভিন্ন জলবিজ্ঞানী ও ভূমিরূপবিদদের মতে, দুটি সংলগ্ন নদী প্রণালীর মধ্যে অবস্থানকারী বিভাজন রেখা, যেমন-শৈলশিরাকে জলবিভাজিকা বলে। একটি নদীর ধারণ অববাহিকা জলবিভাজিকার মাধ্যমে অন্য একটি নদীর ধারণ অববাহিকা থেকে পৃথক হয়। উদাহরণ: গ্যা নদীর ধারণ অববাহিকার উত্তর ও দক্ষিণে যথাক্রমে হিমালয় পর্বত ও বিন্ধা-মৈকাল-কাইমুর পর্বত। জলবিভাজিকা নদীর ধারণ অববাহিকার আয়তন, সীমানা ও অবস্থান জানতে সাহায্য করে। জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনার ধারণা:  জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা বলতে কোনো একটি নদীর ধারণ অববাহিকার বাস্তুতান্ত্রিক ও আর্থসামাজিক উপাদানের উন্নতি বিধানের জন্য গৃহীত বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক পরিকল্পনাকে বোঝানো হয়। অন্যভাবে বলা যায়, নদীর ধারণ অববাহিকার প্রাকৃতিক ও আর্থসামাজিক পরিবেশের স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য যে সামগ্রিক ও বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তাকে জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা বলে। উদাহরণ: দামোদর নদীর ওপর বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা এইরূপ ব্যবস্থাপনার অন্যতম উদাহরণ। ধারণ অববাহিকা :  নদী যে অঞ্চলের জল বয়ে নিয়ে যায়, তাকে ওই নদীর ধারণ অববাহিকা

কূপ ও নলকূপ সেচ

কূপ ও নলকূপ সেচ (Well and Tubewell Irrigation) ভারতের যেসব স্থানে ভূপৃষ্ঠের খুব কাছে ভৌম জলস্তর অবস্থান করে সেখানে তৌমজল উত্তোলনের মাধ্যমে জলসেচ করার জন্য কূপ ও নলকূপ তৈরি করা হয়। সেচসেবিত অঞ্চলসমূহ : কূপের সাহায্যে প্রধানত সর্বাধিক সেচকাজ হয় উত্তরপ্রদেশে (প্রায় 28.6%), দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজস্থান (প্রায় 10.7%) এবং তৃতীয় স্থানে আছে পাঞ্জাব (প্রায় 9.2%)। এ ছাড়া মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, বিহার, মহারাষ্ট্র প্রভৃতি রাজ্যে কূপের মাধ্যমে জলসেচ করা হয়। অন্যদিকে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার প্রভৃতি রাজ্যেও জলসেচের ক্ষেত্রে নলকূপের ব্যবহার যথেষ্ট মাত্রায় লক্ষ করা যায়। উত্তর ভারতে নলকূপের মাধ্যমে সেচের প্রচলন অপেক্ষাতে বেশি দেখা যায়। দক্ষিণ ভারতে কঠিন শিল্পস্তর, তরঙ্গায়িত ভূমিভাগ ও ভৌমজলের অধিক গভীরতায় অবস্থান প্রভৃতি কারণে। কৌশল : প্রাচীনযুগ থেকে ভারতে কূপ ও নলকূপের ব্যবহার প্রচলিত। (a) কূপ (Well): (i) সাধারণ কূপ থেকে কপিকলের সাহায্যে জল তোলা যায়। (ii) প্রাচীন পদ্ধতির ক্ষেত্রে টিনের বিশাল পাত্র বা মোষের চামড়া দিয়ে তৈরি থলির সাহায্যে জল তোলা হয়। (iii) পার্সিয়ান হুইল পদ্ধতিতে পশুশ

জলাশয় সেচ

জলাশয় সেচ (Tank Irrigation) ভারতের দক্ষিণের মালভূমি অঞ্চলের তরঙ্গায়িত ভূমিভাগের অনেক নীচু অংশে বৃষ্টির জল সঞ্চিত হয়ে জলাশয় গড়ে তোলে। এ ছাড়া ভারতের পূর্বে বিভিন্ন জলাশয় যেমন- পুকুর, হ্রদ প্রভৃতি থেকে জল উত্তোলনের মাধ্যমেও জলসেচ করা যায়। সেচসেবিত অঞ্চলসমূহ: ভারতের দক্ষিণে তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে বহুল পরিমাণে এবং পূর্বদিকে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অসম প্রভৃতি রাজ্যে সামান্য পরিমাণে জলাশয়ের মাধ্যমে জলসেচ করা হয়। এই পদ্ধতিতে সেচকার্যে অস্ত্রপ্রদেশ প্রথম (503 হাজার হেক্টর) ও তামিলনাড়ু (620 হাজার হেক্টর) দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী। কৌশল: জলাশয়গুলি থেকে পাম্প, ডোঙা প্রভৃতির মাধ্যমে জল উত্তোলন করে কৃষিজমিতে সরবরাহ করা হয়। জলাশয় সেচ শ্রেণিবিভাগ:  জলাশয় প্রধানত দুই প্রকার। যেমন-(a) প্রাকৃতিক জলাশয় ও (b) কৃত্রিম জলাশয়। (a) প্রাকৃতিক জলাশয় (Natural Tank): প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বিল, পুকুর, দিঘি প্রভৃতি জলাশয়কে প্রাকৃতিক জলাশয় বলে। (b) কৃত্রিম জলাশয় (Artificial Tank): আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে বা নদী সংলগ্ন স্থানে মৃত্তিকা খনন করে কৃত্রিম উপায়ে যে জলাশয় সৃষ্টি করা হয়, তাকে কৃত্রিম জলা

পাকিস্তানের জলসেচ

পাকিস্তানের জলসেচ (Irrigation of Pakistan) পাকিস্তান পৃথিবীর অন্যতম প্রধান জলসেচ কার্যকরী দেশ রূপে পরিচিত। এই দেশে সেচের আওতাধীন অঞ্চলের আয়তন প্রায় 1,50,000 বর্গকিমি। এখানে সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জলের বেশিরভাগই সিন্ধু নদ (65%) থেকে উত্তোলন করা হয়। পাকিস্তানে জলসেচের প্রসারের উদ্দেশ্যে প্রায় 16 টি বাঁধ, 3 টি বড়ো জলাধার, প্রায় 56073 কিমি দীর্ঘ 44 টি প্রধান খাল ও প্রায় 5,50,000 টি নলকূপ গড়ে তোলা হয়েছে। অত্যন্ত শুষ্ক প্রকৃতির জলবায়ু অধ্যুষিত এই দেশে কৃষিকাজ প্রধানত জলসেচের উপর নির্ভর করে। আরও পড়ুন-:  মিশরের জলসেচ পাকিস্তানে জলসেচের প্রয়োজনীয়তা (Necessity of Irrigation in Pakistan) (i) পাকিস্তানের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল ছাড়া অন্যান্য অংশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যথেষ্ট হওয়ায় এই অঞ্চলে ফসল উৎপাদনের জন্য জলসেচের প্রয়োজন হয়। (ii) পাকিস্তানের অধিকাংশ স্থান সিন্ধু নদের বয়ে আনা নরম পলিমাটি দ্বারা গঠিত, যেখানে সহজেই কূপ ও নলকূপ খনন করা সম্ভব হয়। (iii) এই দেশের বেশিরভাগ অংশে সমভূমি থাকায় জলসেচের গুরুত্ব অপরিসীম। (iv)  এখানকার নদীগুলি অনিত্যবহ প্রকৃতির হওয়ায় নদীতে বাঁধ দিয়ে বর্ষার অতিরিক্ত জলকে বাঁধের পিছ

খনিজ সম্পদের প্রকারভেদ

খনিজ সম্পদের প্রকারভেদ প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে খনিজ সম্পদকে নিম্নলিখিত তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়- • ধাতব খনিজ (Metallic Minerals): যেসব খনিজ থেকে ধাতু নিষ্কাশন করা সম্ভব হয়, তাদের ধাতব খনিজ বলা হয়। ওজন হ্রাসশীল কাঁচামাল হিসেবে শিল্পে ধাতব খনিজের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এগুলিকে তিনটি উপবিভাগে বিভক্ত করা যায়- (a) লৌহবর্গীয় খনিজ (Ferrous Minerals): যে ধাতব খনিজগুলিতে লোহার পরিমাণ বেশি থাকে, তাকে লৌহবর্গীয় খনিজ বলে। যেমন-ম্যাগনেটাইট, হেমাটাইট প্রভৃতি। (b) লৌহ-সংকর খনিজ (Ferro-Alloy Minerals): লোহার সঙ্গে যে ধাতব খনিজকে মিশ্রিত করে সংকর লোহা ও ইস্পাত তৈরি করা হয়, তাকে লৌহ-সংকর খনিজ বলে। যেমন-সিসা, তামা, টিন, দস্তা প্রভৃতি। (c) অ-লৌহবর্গীয় খনিজ (Non-Ferrous Minerals): যেসমস্ত ধাতব খনিজ থেকে লোহা জাতীয় ধাতু বা লোহা ছাড়া অন্য কোনো ধাতু পাওয়া যায়, তাদের অ-লৌহবর্গীয় খনিজ বলে। যেমন-বক্সাইট, টিন, তামা প্রভৃতি। • অধাতব খনিজ (Non-Metallic Minerals): যেসব খনিজ থেকে ধাতু নিষ্কাশন করা যায় না, তাদের অধাতব খনিজ বলে। অনুজ্জ্বল প্রকৃতির এই খনিজগুলি সরাসরি শিল্পের কাজে ব্যবহৃত হয়। ধাতব খনিজ আবার তি