Book Review: "Rich Dad Poor Dad" by Robert Kiyosaki

Affiliate Disclosure : This post contains affiliate links, which means we earn a commission if you purchase through these links. Thank you for supporting our site! Book Review: "Rich Dad Poor Dad" by Robert Kiyosaki A Financial Game-Changer for Entrepreneurs. Rating: 5/5 stars Introduction In the world of personal finance, few books have made as significant an impact as Rich Dad Poor Dad by Robert Kiyosaki. First published in 1997, this groundbreaking book offers insights into wealth-building that challenge conventional beliefs about money and education. If you're looking to reshape your financial future, this book might just be the catalyst you need. Overview of the Book Rich Dad Poor Dad contrasts the financial philosophies of Kiyosaki's two father figures: his biological father (the "Poor Dad"), who believed in traditional education and job security, and his best friend’s father (the "Rich Dad"), who advocated for financial literacy, investing

জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা

জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা (Watershed Management)


জলবিভাজিকার সংজ্ঞা: 


বিভিন্ন জলবিজ্ঞানী ও ভূমিরূপবিদদের মতে, দুটি সংলগ্ন নদী প্রণালীর মধ্যে অবস্থানকারী বিভাজন রেখা, যেমন-শৈলশিরাকে জলবিভাজিকা বলে। একটি নদীর ধারণ অববাহিকা জলবিভাজিকার মাধ্যমে অন্য একটি নদীর ধারণ অববাহিকা থেকে পৃথক হয়। উদাহরণ: গ্যা নদীর ধারণ অববাহিকার উত্তর ও দক্ষিণে যথাক্রমে হিমালয় পর্বত ও বিন্ধা-মৈকাল-কাইমুর পর্বত। জলবিভাজিকা নদীর ধারণ অববাহিকার আয়তন, সীমানা ও অবস্থান জানতে সাহায্য করে।

জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনার ধারণা: 


জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা বলতে কোনো একটি নদীর ধারণ অববাহিকার বাস্তুতান্ত্রিক ও আর্থসামাজিক উপাদানের উন্নতি বিধানের জন্য গৃহীত বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক পরিকল্পনাকে বোঝানো হয়। অন্যভাবে বলা যায়, নদীর ধারণ অববাহিকার প্রাকৃতিক ও আর্থসামাজিক পরিবেশের স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য যে সামগ্রিক ও বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তাকে জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা বলে। উদাহরণ: দামোদর নদীর ওপর বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা এইরূপ ব্যবস্থাপনার অন্যতম উদাহরণ।

ধারণ অববাহিকা

নদী যে অঞ্চলের জল বয়ে নিয়ে
যায়, তাকে ওই নদীর ধারণ অববাহিকা বলে। উদাহরণ: গঙ্গা, যমুনা প্রভৃতি নদীর অববাহিকা।

বৈশিষ্ট্য: (i) ধারণ অববাহিকার আয়তন জলচক্রের

বৈশিষ্ট্য শনাক্তকরণে সাহায্য করে। (ii) নদীর ক্রম অনুযায়ী এই অববাহিকা অবস্থান করে। (iii) বৃষ্টির জল এখানে ইনপুট রূপে যুক্ত হয় এবং পরে ওই জলের পৃষ্ঠপ্রবাহ বা অনুসরণের মাধ্যমে আউটপুট রূপে নির্গমন ঘটে।

উদ্দেশ্যসমূহ: জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনার প্রধান

উদ্দেশ্যগুলি হল- ভূমিক্ষয় নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বনসৃজন। ② ভৌমজলের সঞ্চয় সুরক্ষিতকরণ। ③ নালি ক্ষয় প্রতিরোধ। ④) বৃষ্টির জল সংরক্ষণ। বর্ষাকালে অববাহিকা থেকে জল নিষ্কাশন। ভূমির ব্যবহার। গ্রহণ। অববাহিকার ভূমির প্রকৃতি অনুসারে যুক্তিসংগত অববাহিকার প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ ও কাম্য ব্যবহার। (৫) জল সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষাবিধান।

জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি: জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনার পদ্ধতিকে অঞ্চলের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়- আর্দ্র অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা ও শুষ্ক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা।

আর্দ্র অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা (Management of Hu- mid Region): আর্দ্র অঞ্চলে জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিপর্যয়গুলি প্রতিরোধের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। (a) বন্যা। বর্ষাকালে অনেক সময় অতিবৃষ্টির ফলে ধারণ অববাহিকায় বন্যা সৃষ্টি হয় এবং প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। ব্যবস্থাপনাঃ (1) নদীর খাত থেকে পলি নিষ্কাশন করতে হবে, (ii) নদীর বিভিন্ন অংশে বাঁধ ও জলাধার নির্মাণ করা যেতে পারে, (iii) ধসের জন্য নদীর স্বাভাবিক গতিপথে যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। (b) ভূমিধস: পাহাড়ি অঞ্চলে শিলাচূর্ণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে প্রবল বেগে নীচের দিকে নেমে এসে ভূমিধস সংঘটিত করে। 
ব্যবস্থাপনা: (i) পাহাড়ি ঢালে বনসৃজন করতে হবে। (ii) ইঞ্জিনিয়ারিং দেয়াল গঠন করা যেতে পারে। (iii) জুট নেটিং ও রিপ-র‍্যাপ ড্রেন তৈরি করতে হবে। (iv) খাড়া ঢালে ধাপ কেটে ঢালের নতির পরিবর্তন করা যেতে পারে। (c) মৃত্তিকাক্ষয়: প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে মৃত্তিকা দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং নদীর গভীরতা হ্রাস পায়। ব্যবস্থাপনা: (১) ধারণ অববাহিকায় মৃত্তিকাকে বৃষ্টির জলের আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য বনসৃজন করতে হবে। (ii) জলবিভাজিকা সংলগ্ন স্থানেও বনসৃজন করা প্রয়োজন। (iii) জলবিভাজিকার পাশের দেয়াল থেকে যাতে জল না পড়ে তার জন্য দেয়াল সিমেন্ট দিয়ে বাঁধাতে হবে। 

শুষ্ক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা (Management of Dry Region): 

শুষ্ক অঞ্চলে প্রধানত জলের কাম্য ব্যবহার, আধুনিক কৃষি পদ্ধতির ব্যবহার, মৃত্তিকার আর্দ্রতার সংরক্ষণ, ক্ষুদ্র কৃষকদের স্বার্থরক্ষা প্রভৃতি বিভিন্ন উদ্দেশ্যপূরণের জন্য জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা করা হয়। ব্যবস্থাপনা: (i) শুষ্ক অঞ্চলে জলের অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীখাতকে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করতে হবে। (ii) শুষ্ক ঋতুতে জলাশয় বা আর্দ্র মৃত্তিকার উপরে আচ্ছাদন ব্যবহার করে বাষ্পীভবনের হার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। (iii) যেসব ফসল উৎপাদনে জল কম ব্যবহৃত হয়, সেইসব ফসলের (যেমন-ভুট্টা, মিলেট প্রভৃতি) চাষ বৃদ্ধি করতে হবে। (iv) জলবিভাজিকা সংলগ্ন অঞ্চলে খাত ও জলাশয় খনন করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করতে হবে। (v) ভূমি কর্ষণ ও শুষ্ক কৃষির বিষয়ে কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। 

Popular posts from this blog

ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকদের অবদান আলোচনা করো।

কার্যকারণ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে হিউমের মতবাদটি আলোচনা করো।

নেপোলিয়নের পতনের কারণ সম্পর্কে আলোচনা করো।