খনিজ সম্পদের প্রকারভেদ
- Get link
- X
- Other Apps
খনিজ সম্পদের প্রকারভেদ
প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে খনিজ সম্পদকে নিম্নলিখিত তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়-
• ধাতব খনিজ (Metallic Minerals): যেসব খনিজ থেকে ধাতু নিষ্কাশন করা সম্ভব হয়, তাদের ধাতব খনিজ বলা হয়। ওজন হ্রাসশীল কাঁচামাল হিসেবে শিল্পে ধাতব খনিজের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এগুলিকে তিনটি উপবিভাগে বিভক্ত করা যায়- (a) লৌহবর্গীয় খনিজ (Ferrous Minerals): যে ধাতব খনিজগুলিতে লোহার পরিমাণ বেশি থাকে, তাকে লৌহবর্গীয় খনিজ বলে। যেমন-ম্যাগনেটাইট, হেমাটাইট প্রভৃতি। (b) লৌহ-সংকর খনিজ (Ferro-Alloy Minerals): লোহার সঙ্গে যে ধাতব খনিজকে মিশ্রিত করে সংকর লোহা ও ইস্পাত তৈরি করা হয়, তাকে লৌহ-সংকর খনিজ বলে। যেমন-সিসা, তামা, টিন, দস্তা প্রভৃতি। (c) অ-লৌহবর্গীয় খনিজ (Non-Ferrous Minerals): যেসমস্ত ধাতব খনিজ থেকে লোহা জাতীয় ধাতু বা লোহা ছাড়া অন্য কোনো ধাতু পাওয়া যায়, তাদের অ-লৌহবর্গীয় খনিজ বলে। যেমন-বক্সাইট, টিন, তামা প্রভৃতি।
• অধাতব খনিজ (Non-Metallic Minerals): যেসব খনিজ থেকে ধাতু নিষ্কাশন করা যায় না, তাদের অধাতব খনিজ বলে। অনুজ্জ্বল প্রকৃতির এই খনিজগুলি সরাসরি শিল্পের কাজে ব্যবহৃত হয়। ধাতব খনিজ আবার তিন প্রকার- (a) রাসায়নিক খনিজ (Chemical Minerals): যেসব অধাতব খনিজ থেকে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য, কীটনাশক, ওষুধ প্রভৃতি উৎপাদন করা যায়, তাদের রাসায়নিক খনিজ বলে। যেমন-ডলোমাইট, গন্ধক, লবণ, ফসফেট প্রভৃতি। (b) স্থাপত্য খনিজ (Structural Minerals): যেসব অধাতব খনিজ রাস্তা, বাড়ি, সৌধ প্রভৃতি গঠনে ব্যবহৃত হয়, তাদের স্থাপত্য খনিজ বলে। যেমন-মার্বেল, চুনাপাথর, গ্র্যানাইট, জিপসাম প্রভৃতি। (c) অন্যান্য অধাতব খনিজ (Other Non-Metallic Minerals): অন্যান্য অধাতব খনিজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চিনামাটি, গ্রাফাইট, অভ্র প্রভৃতি।
• জ্বালানি খনিজ (Fuel Minerals): যেসব খনিজ দহন করার ফলে তাপ ও শক্তি উৎপাদিত হয়, তাদের জ্বালানি খনিজ বলে। জ্বালানি খনিজকে আবার চারটি ভাগে ভাগ করা যায়-(a) কঠিন জ্বালানি খনিজ: কয়লা, (b) তরল জ্বালানি খনিজঃ খনিজ তেল, (c) গ্যাসীয় জ্বালানি খনিজঃ প্রাকৃতিক গ্যাস, (d) পারমাণবিক খনিজঃ (এই খনিজ থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ নির্গত হওয়ায়, একে তেজস্ক্রিয় খনিজও বলে।) থোরিয়াম, ইউরেনিয়াম প্রভৃতি।
- Get link
- X
- Other Apps