Book Review: "Rich Dad Poor Dad" by Robert Kiyosaki

Affiliate Disclosure : This post contains affiliate links, which means we earn a commission if you purchase through these links. Thank you for supporting our site! Book Review: "Rich Dad Poor Dad" by Robert Kiyosaki A Financial Game-Changer for Entrepreneurs. Rating: 5/5 stars Introduction In the world of personal finance, few books have made as significant an impact as Rich Dad Poor Dad by Robert Kiyosaki. First published in 1997, this groundbreaking book offers insights into wealth-building that challenge conventional beliefs about money and education. If you're looking to reshape your financial future, this book might just be the catalyst you need. Overview of the Book Rich Dad Poor Dad contrasts the financial philosophies of Kiyosaki's two father figures: his biological father (the "Poor Dad"), who believed in traditional education and job security, and his best friend’s father (the "Rich Dad"), who advocated for financial literacy, investing

কয়লা

কয়লার বৈশিষ্ট্য: 


কয়লা একটি ওজন হ্রাসশীল, গচ্ছিত, ক্ষয়িয়, অপুনর্ভব সম্পদ। কয়লা এমন এক জীবাশ্ম জ্বালানি, যা অতীতে ও বর্তমানে পৃথিবীর বহু স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প ও পরিবহণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কয়লার গুরুত্বের প্রেক্ষিতে একে কালো হিরে (Black Diamond) বলে।


কয়লা উপাদান: 


কয়লার অন্যতম উপাদান হল কার্বন। উৎকৃষ্ট মানের কয়লায় কার্বনের পরিমাণ থাকে সব থেকে বেশি (প্রায় 95%), যেমন-কার্বনিফেরাস যুগের কয়লা। অন্যদিকে নিকৃষ্ট প্রকৃতির কয়লায় কার্বনের পরিমাণ থাকে প্রায় 30% যেমন-টার্সিয়ারি যুগের কয়লা। কার্বন ছাড়া কয়লার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি হল সালফার, উদ্বায়ী পদার্থ, জলীয় বাষ্প, বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ এবং কিছু অদাহ্য পদার্থ। 


কয়লার উৎপত্তি: 

পৃথিবীর বেশিরভাগ কয়লা কার্বনিফেরাস যুগের বনভূমি ভূগর্ভে চাপা পড়ে ভূ-অভ্যন্তরস্থ চাপ ও তাপের প্রভাবে উৎপন্ন হয়েছে। প্রধানত পাললিক বা স্তরীভূত শিলায় চাপা পড়ে যাওয়া উদ্ভিদ মধ্যস্থ কার্বন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কয়লায় রূপান্তরিত হয়। কয়লা এক প্রকার স্তরীভূত জৈব শিলা


কোক কয়লা (Coke Coal): 

বিটুমিনাস কয়লাকে অত্যধিক উন্নতায় গলিয়ে অঙ্গারীকরণ পদ্ধতির সাহায্যে যে উৎকৃষ্ট গুণমানবিশিষ্ট কয়লা উৎপাদন করা হয়, তাকে কোক কয়লা বলে।


গ্রাফাইট (Graphite): কয়লা থেকে তাপ ও চাপের ফলে গাঢ় কালো বর্ণের খনিজ তৈরি হয়, তাকে গ্রাফাইট বলে। পেনসিল তৈরির ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়। (Stratified Organic Rock)।


প্রকারভেদ: কার্বনের পরিমাণ অনুসারে কয়লাকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে- অ্যানথ্রাসাইট (Anthrasite): সবথেকে উৎকৃষ্ট প্রকৃতির এই কয়লায় কার্বনের পরিমাণ থাকে 85%-95%। বিশ্বে মোট উৎপাদনের প্রায় 6% হল এই প্রকার কয়লা; যা শক্ত, উজ্জ্বল কালো ও ধোঁয়া উৎপাদন করে না। ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য এই কয়লা ব্যবহার করা হয়। বিটুমিনাস (Bituminous): সমগ্র পৃথিবীতে প্রায় ৪৫% বিটুমিনাস কয়লা উৎপাদিত হয়। এই কয়লা মাঝারি মানের, বর্ণ প্রায় অনুজ্জ্বল কালো, বিশেষ শক্ত নয় এবং প্রচুর ধোঁয়া উৎপাদনকারী। এতে কার্বনের পরিমাণ 50%-85% এবং লৌহ-ইস্পাত শিল্পে এই কয়লার ব্যবহার সর্বাধিক।


লিগনাইট (Lignite): সমগ্র বিশ্বে মোট কয়লা উৎপাদনের মাত্র 16% হল লিগনাইট কয়লা। বাষ্প উৎপাদনে ব্যবহৃত এই কয়লা ধোঁয়া উৎপাদন করে, বর্ণ বাদামি বা কালো। কার্বনের পরিমাণ 35%-50% এবং শক্ত প্রকৃতির নয়। এই কয়লা বাদামি বর্ণের হওয়ায় একে 'Brown Coal' বা 'বাদামি কয়লা' বলে। পিট (Peat): পিট দহনের ফলে যথেষ্ট মাত্রায় ধোঁয়া উৎপন্ন হয়। নবীন প্রকৃতির, নিকৃষ্ট মানের এই কয়লায় কার্বনের পরিমাণ থাকে 35%-এর কম। এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অত্যন্ত কম।


উপজাত দ্রব্য: কয়লা থেকে কোক উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অঙ্গারীকরণ বা কার্বোনাইজেশন (Carbonisa- tion) পদ্ধতি প্রয়োগের সময় বহু উপজাত দ্রব্য উৎপাদিত হয়। অ্যারীকরণ পদ্ধতি প্রধানত দুই ধরনের, যথা-উচ্চতাপের অঙ্গারীকরণ ও নিম্নতাপের অঙ্গারীকরণ। • উচ্চতাপের অঙ্গারীকরণ: এই পদ্ধতিতে 900°-1000° সে. তাপমাত্রায় কয়লাকে দহন করার সময় প্রচুর পরিমাণে কোক সহ অন্যান্য বিভিন্ন দ্রব্য, যেমন-আলকাতরা, প্রচুর পরিমাণে কোল গ্যাস ও হালকা তেল পাওয়া যায়। আলকাতরা থেকে

উৎপন্ন হয়-ন্যাপথলিন, ফেনল, অ্যাসফাল্ট, ক্রিয়োজোট প্রভৃতি। • নিম্নতাপের অঙ্গারীকরণ: এই পদ্ধতিতে 450°-700° সে. তাপমাত্রায় কয়লাকে দহন করার সময় স্যাকারিন, আলকাতরা, বেনজল, টলুইন, পাইরিডিন, হালকা তেল প্রভৃতি পাওয়া যায়।

এ ছাড়া লিগনাইট কয়লা থেকে উদ্বায়ীভবন বা হাইড্রোজেনেশন (Hydrogenation) পদ্ধতির সাহায্যে পেট্রোল বা গ্যাসোলিন উৎপাদন করা হয়।


ব্যবহার ও গুরুত্ব: কয়লার প্রধান ব্যবহারগুলি হল- তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন: বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে বেশিরভাগ কয়লা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। লৌহ-ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল: লৌহ-ইস্পাত শিল্পে লৌহপিন্ড নিষ্কাশনের জন্য যে কোক-এর প্রয়োজন হয়, তার প্রধান উৎস হল কয়লা। পরিবহণ ক্ষেত্রে: কয়লা দহনের ফলে উৎপন্ন তাপের সাহায্যে যে বাষ্পশক্তি উৎপাদিত হয় তার সাহায্যে জাহাজ, রেল প্রভৃতি চালানো সম্ভব হয়। • শিল্পে জ্বালানিরূপে ব্যবহার: শিল্পবিপ্লবের পরবর্তী সময়ে বহুদিন পর্যন্ত শিল্পে জ্বালানির অন্যতম উৎস ছিল কয়লা। • গৃহস্থালির কার্যাবলি: শীতল অঞ্চলে ঘরের উন্নতা বৃদ্ধির জন্য, ঘরে আলো জ্বালাতে প্রভৃতি বিভিন্ন কাজে কয়লা ব্যবহার করা হয়। বাড়ির জ্বালানি রূপে কয়লা থেকে উৎপন্ন কোল গ্যাস ব্যবহৃত হয়। কৃষিক্ষেত্রে কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার উৎপাদনের ক্ষেত্রে কয়লা থেকে প্রাপ্ত অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিক শিল্পে  ব্যবহার: কয়লার বিভিন্ন উপজাত দ্রব্য, যেমন- ন্যাপথলিন, ক্রিয়োজোট থেকে কীটনাশক, অ্যামোনিয়া থেকে রাসায়নিক সার ও বেনজল থেকে রঞ্জক দ্রব্য উৎপাদিত হয়।


পৃথিবীতে কয়লার বণ্টন (World Distribution of Coal): 2016 খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীতে মোট কয়লা  উৎপাদনের পরিমাণ 7460.4 মিলিয়ন টন। 


অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশসমূহ: কয়লা উৎপাদনে পৃথিবীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলি হল-কলম্বিয়া, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, উত্তর কোরিয়া, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম প্রভৃতি।

ভারতে কয়লার বণ্টন: 2016 খ্রিস্টাব্দে ভারতে

উৎপাদনের পরিমাণ ছিল প্রায় 692.4 মিলিয়ন টন এবং বিশ্বে কয়লা উৎপাদনে ভারতের স্থান দ্বিতীয়। ভারতে প্রধানত দুটি ভূতাত্ত্বিক যুগ-গন্ডোয়ানা ও টার্সিয়ারি যুগের কয়লা পাওয়া যায়।


গন্ডোয়ানা যুগের কয়লা: ভারতের প্রায় 98.5% কয়লা গন্ডোয়ানা যুগের। এই যুগে কয়লা প্রায় 27-30 কোটি বছরের পুরোনো।


টার্সিয়ারি যুগের কয়লা: টার্সিয়ারি যুগের কয়লা নিকৃষ্ট মানের এবং অধিকাংশই লিগনাইট প্রকৃতির কয়লা। এই যুগের কয়লা প্রায় 5.5-6.5 কোটি বছরের পুরোনো। ভারতে নিম্নলিখিত অঞ্চলগুলিতে টার্সিয়ারি যুগের কয়লা পাওয়া যায়- মেঘালয়

(স্থান নবম)-চেরাপুঞ্জি, তুরা প্রভৃতি। অসম (সস্থান দশম)-নাজিরা, মাকুম, জয়পুর প্রভৃতি। অরুণাচল প্রদেশ-নামচিক, নামফুক। তামিলনাড়ু-নেভেলি (ভারতের সর্ববৃহৎ লিগনাইট খনি)। রাজস্থান-বিকানীর-এর পালানা।


• গুজরাট-ব্রোচ, কচ্ছ। পশ্চিমবঙ্গ-তিনধারিয়া,

বাগরাকোট। জম্মু ও কাশ্মীর-লাড্ডা, কালাকোট প্রভৃতি

উন্নত প্রযুক্তির অভাবে সব স্থান থেকে কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হয় না। ② দেশের সুনির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানেই কয়লা পাওয়া যায়। আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে কয়লা উৎপাদনের পরিমাণ কম। ④ ভারতে উৎকৃষ্ট মানের কয়লার পরিমাণ


Popular posts from this blog

ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকদের অবদান আলোচনা করো।

কার্যকারণ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে হিউমের মতবাদটি আলোচনা করো।

নেপোলিয়নের পতনের কারণ সম্পর্কে আলোচনা করো।