সমুদ্রতরঙ্গ শক্তির ধারণা:
সমুদ্রতরঙ্গের শক্তিকে ব্যবহার করে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় তা সমুদ্রতরঙ্গ শক্তিরূপে পরিচিত। অনুকূল বায়ুপ্রবাহের অভাবে অনেকসময় এই শক্তি উৎপাদন ব্যাহত হয়। শুধুমাত্র জোয়ারভাটার সময়ই নয়, সাধারণত সবসময়ই এই শক্তি উৎপাদন করা হয়।
আরও পড়ুন:- ভূতাপ শক্তি (Geothermal Energy)
সমুদ্রতরঙ্গ শক্তির প্রয়োগ:
সমুদ্রতরঙ্গ শক্তির সাহায্যে (1) সমুদ্রের লবণাক্ত জলকে লবণমুক্ত করে লবণ উৎপাদন করা হয়। (ii) বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই শক্তি ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন:- বায়ুশক্তি (Wind Energy)
সমুদ্রতরঙ্গ শক্তি-প্রধান উৎপাদক দেশসমূহ:
পোর্তুগালের উত্তরে অ্যাগুকাডোরা ওয়েভ ফার্ম 2008 খ্রিস্টাব্দে গঠন করা হয়, যা পৃথিবীর প্রথম সমুদ্রতরঙ্গ শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র (উৎপাদনক্ষমতা প্রায় 2.3 মেগাওয়াট)। বর্তমানে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশে এই শক্তি উৎপাদন করা হয়। ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের সাইডার (4 মেগাওয়াট), ওর্কনি (2.5 মেগাওয়াট), ইসলে লিমপেট (0.7 মেগাওয়াট); অস্ট্রেলিয়ার পোর্টল্যান্ড, পশ্চিম। অস্ট্রেলিয়া; আয়ারল্যান্ডের ওয়েভবব, ডেনমার্কের ওয়েভস্টার; বেলজিয়ামের ফলান সি; স্পেনের মুটি কু প্রভৃতি পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সমুদ্র তরঙ্গ শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের উদাহরণ। ভারতের তামিলনাড়ু, কেরল ও সুন্দরবনের দুর্গাদুয়ানি খাঁড়িতে এই শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের প্রচেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:- জৈবগ্যাস শক্তি (Biogas Energy)
সমুদ্রতরঙ্গ শক্তির সুবিধা:
(i) সমুদ্রতরঙ্গ বারংবার ব্যবহারে শেষ হয়ে যায় না। (ii) এই শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে পৌনঃপুনিক ব্যয় যথেষ্ট কম হয়। (iii) পরিবেশদূষণের সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন:- ভূতাপ শক্তি (Geothermal Energy)
সমুদ্রতরঙ্গ শক্তির সমস্যা:
(1) বৃহদাকার তরঙ্গ ছাড়া শক্তি উৎপাদন সম্ভব নয়। (ii) উৎপাদন ব্যয় অত্যন্ত বেশি। (iii) সাইক্লোনের বা সুনামির ফলে যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ায় সম্ভাবনা আছে। (iv) বৃহৎ মাত্রায় উৎপাদন হয় না। (v) এই প্রকার বিদ্যুৎশক্তির সঞ্চয়যোগ্যতা নেই।
Social Plugin